বগুড়ায় প্রয়াত জামায়াত নেতার বাড়িতে ককটেলসদৃশ বস্তু, বিস্ফোরণে শ্রমিক আহত
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রয়াত জামায়াত নেতার বাড়ির সিলিংয়ে থাকা ককটেলসদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে আবদুল বাছেদ নামে এক শ্রমিক আহত হয়েছেন। বগুড়া শহরের সূত্রাপুর এলাকায় শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে আরও ২-৩টি ককটেলসদৃশ বস্তু আছে। সেগুলো উদ্ধারের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজন ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।
বিকালে সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবদুর রউফ জানান, ঘটনার পর থেকে সাবেক জামায়াত নেতার সংস্কারাধীন বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে। হাতে আঘাত পেয়ে আহত শ্রমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বগুড়া শহরের সূত্রাপুর এলাকার টিনশেড বাড়িটি সাবেক জামায়াত নেতা দুলাল হোসেনের। তিনি প্রায় আট বছর আগে মারা যান। এরপর তার স্ত্রী সখিনা বেগম ও মেয়ে সেউজগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সেলিনা আকতার শিউলী ওই বাড়িতে বসবাস করেন।
শিক্ষিকা শিউলী সম্প্রতি বাড়িটি ভেঙে ভবন করার উদ্যোগ নেন। বাড়ির পুরাতন টিন, ইট ও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করে দেন। শুক্রবার সকালে ক্রেতার শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। টিন খোলার পর বগুড়ার শাজাহানপুরের আতাইল গ্রামের শ্রমিক আবদুল বাছেদ হার্ডবোর্ডের সিলিংয়ে ককটেলসদৃশ কয়েকটি বস্তু দেখতে পান।
কৌতূহল বশত সুতা দিয়ে পেঁচানো বস্তুটি হাতে নিয়ে নাড়ানাড়া করলে সেটি বিস্ফোরিত হয়। এতে বাছেদের হাত কেটে জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ক্লিনিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে প্রয়াত জামায়াত নেতার মেয়ে শিক্ষিকা শিউলী বলেন, বাড়িটি পুরাতন। আমরা এখানে থাকি না। বাড়ির পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিয়েছি। কিভাবে এ ঘটনা ঘটেছে আমরা কিছু জানি না।
সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবদুর রউফ জানান, বাড়িটি সাবেক জামায়াত নেতা মৃত দুলাল হোসেনের। আহত শ্রমিক বাছেদ সিলিংয়ে আরও ২-৩টি ককটেলসদৃশ বস্তু দেখতে পেয়েছেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ঢাকা বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এখানে এসেছিলেন। তারা ককটেলসদৃশ বস্তু বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছেন। পুরো বিষয়টি তদন্ত চলছে।
